জৈব যৌগের সংকেত থেকে গাঠনিক সমাণু সংখ্যা নির্ণয়

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - রসায়ন - রসায়ন - দ্বিতীয় পত্র | | NCTB BOOK

জৈব যৌগের সংকেত থেকে গাঠনিক সমাণু সংখ্যা নির্ণয়


গাঠনিক সমাণু

গাঠনিক সমাণু বলতে এমন যৌগকে বোঝায় যা একই সংকেত অনুসরণ করে কিন্তু গঠনগতভাবে আলাদা। গাঠনিক সমাণু নির্ণয়ের জন্য মৌলিক ধারণাগুলো জানা প্রয়োজন:

  1. কার্বন শৃঙ্খলা: কার্বন পরমাণু কিভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে তা নির্ধারণ।
  2. সংযোজনের ধরন: একক, দ্বৈত বা ত্রৈত বন্ধনের উপস্থিতি।

গাঠনিক সমাণু নির্ণয়ের ধাপ

১. সংকেত বিশ্লেষণ

জৈব যৌগের সংকেতের রাসায়নিক সূত্র থেকে সব সম্ভাব্য গাঠনিক সমাণু বের করতে হবে।

২. মূল কাঠামো গঠন

মূল কাঠামো গঠন করতে হলে:

  • কার্বন পরমাণুর সংখ্যা
  • হাইড্রোজেন বা অন্যান্য পরমাণুর সংখ্যা
৩. সমাণু তৈরি

মূল কাঠামো ধরে বিভিন্ন স্থানে সংযোজন, বন্ধন, এবং শৃঙ্খল বিভাজনের মাধ্যমে গঠনের বিভিন্ন রূপ তৈরি করতে হবে।

৪. নামকরণ

প্রতিটি গঠন অনুযায়ী আইইউপিএসি (IUPAC) নামকরণ নিশ্চিত করতে হবে যাতে প্রতিটি গঠনের ভিন্নতা বোঝা যায়।

৫. চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারণ

সব গঠন পর্যালোচনা করে সমাণু সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে।


উদাহরণ

C₄H₁₀ সংকেতের গাঠনিক সমাণু:

  • n-বিউটেন: সরল শৃঙ্খলা।
  • আইসো-বিউটেন: শাখাযুক্ত শৃঙ্খলা।

এখানে গাঠনিক সমাণুর সংখ্যা হলো ২।


প্রাসঙ্গিক বিষয়

গাঠনিক সমাণু নির্ণয়ের সময় মনোযোগ দিতে হবে:

  • শৃঙ্খল বিভাজন।
  • সংযোজক গোষ্ঠীর স্থানান্তর।
  • চক্রাকার বা সরল কাঠামোর উপস্থিতি।

সারাংশ

জৈব যৌগের সংকেত থেকে গাঠনিক সমাণু নির্ণয়ের জন্য সংকেত বিশ্লেষণ, কাঠামো গঠন, এবং আইইউপিএসি পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। গঠনের প্রতিটি ভিন্নতার মাধ্যমে গঠিত সমাণু সংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব।

Content added By
Promotion